ঝুঁকির মধ্যে শহীদ আরজু মনি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা
নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল :- বিদ্যালয়ের সামনের অংশে সিমানা প্রাচীর না থাকায় ও মাঠে খানাখন্দের কারণে চরম ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে নগরীর কাউনিয়ায় অবস্থিত শহীদ আরজু মনি সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। প্রতিনিয়ত বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দূর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। জরুরি ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের ঝুঁকির হাত থেকে রক্ষা করার জন্য দাবি জানিয়েছেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও অভিভাবকরা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সরকারের ধারাবাহিক উন্নয়নে অংশ হিসেবে নগরীর রূপাতলী হাউজিং এ শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত ও কাউনিয়ায় শহীদ আরজু মনি সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয় নামে দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের যাত্রা শুরু হয়। প্রতিটি সাত তলা ভবনে রয়েছে আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থা। চলতি বছরে পুরোদমে এ দুই বিদ্যালয়ে ক্লাস শুরু হয়েছে। কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পদচারনায় মুখরিত দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। যা এ অঞ্চলের শিক্ষার্থীদের জন্য আর্শীবাদ হয়ে দেখা দিয়েছে। সূত্রে আরও জানা গেছে, ভবন নির্মানের দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলে এখনও নির্মিত হয়নি সীমানা প্রাচীর ও গেইট। ফলে উন্মুক্ত বিদ্যালয়টির খানাখন্দে ভরা মাঠে গরু চরানোসহ ক্লাস চলাকালীন অতিউৎসাহী অভিভাবকরা বিদ্যালয়ে হরহামায়াশেই আসা যাওয়া করছে। যেকারণে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের বির্বতকর পরিস্থিতিতে পরতে হচ্ছে।
কলেজ শিক্ষক মোঃ মনিরুজ্জামান নামের এক ছাত্রের অভিভাবক বলেন, শহীদ আরজু মনি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পড়াশুনার মান অনেক ভালো। প্রধানশিক্ষকের বিচক্ষনতায় যথেষ্ট নিয়ম শৃঙ্খলার মধ্যদিয়ে প্রতিষ্ঠানটিতে পাঠদান হচ্ছে কিন্তু বিদ্যালয়ের নিরাপত্তা সিমানা প্রাচীর ও গেট না থাকায় শিক্ষার্থীরা নিরাপদ নয়। বিদ্যালয়ের সামনের পুরো মাঠে খানাখন্দে ভরা। বর্ষার আগে মাঠটি বালু দিয়ে ভরাট করা জরুরী হয়ে পরেছে। নতুবা আসন্ন বর্ষা মৌসুমে পুরো মাঠে পানি জমে শিক্ষার্থীদের চরম দূর্ভোগে পরতে হবে। পাশাপাশি জরুরি ভিত্তিতে বিদ্যালয়ের সিমানা প্রাচীর নির্মান করা না হলে যেকোন সময় অনাকাঙ্খিত ঘটনার আশংকা রয়েছে।
এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের ভবন নির্মানের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান লায়লা গ্রæপের স্বত্তাধিকারী মোঃ রফিকুল ইসলাম রানা বলেন, টেন্ডারে কিছুটা সমস্যা রয়েছে। তাছাড়া বর্তমানে সিটির মধ্যে লোকাল বালু প্রবেশ করানো যাচ্ছেনা বলে সমস্যা হচ্ছে। বরিশাল শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরে নির্বাহী প্রকৌশলী সমীর কুমার দাস বলেন, প্রজেক্টটি আমাদের এখনও চলমান রয়েছে। বর্ষার আগেই অসম্পন্ন কাজগুলো সম্পন্ন করা হবে। এ ব্যাপারে বরিশালের জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমান বলেন, এটা যেহেতু নতুন বিদ্যালয়, তাই অনেক কাজ বাকি আছে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের সাথে আলোচনা করে খুব শীঘ্রই সিমানা প্রাচীর, গেট নির্মান, মাঠ সংস্কারসহ সকল সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।