প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারী কর্ণফুলী টানেল প্রকল্পে খনন কাজের শুভ উদ্বোধন করবেন বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
মন্ত্রী বলেন, চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সিকিউরিটি সাপোর্ট ইউনিট কর্ণফুলী টানেল নির্মাণ প্রকল্প এলাকার সার্বিক নিরাপত্তা প্রদান করবে এবং চুক্তির মেয়াদ হবে ৪ বছর।
সোমবার কর্ণফুলী টানেলের নিরাপত্তা বিষয়ে নৌবাহিনীর সঙ্গে সেতু কর্তৃপক্ষের চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে তিনি এ তথ্য জানান। এ সময় ২০২২ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
প্রায় ৬৫ কোটি টাকার চুক্তিপত্রে বংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের পক্ষে প্রধান প্রকৌশলী কাজী মো. ফেরদাউস এবং বাংলাদেশ নৌবাহিনীর পক্ষে নেভাল অপারেশনস্ এর পরিচালক এবং সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি সুপারভিশন কনসালটেন্ট এর প্রধান সমন্বয়ক কমোডর মাহমুদুল মালেক নিজ নিজ পক্ষে স্বাক্ষর করেন।
কর্ণফুলী টানেল প্রকল্পটি ৯ হাজার ৮৮০ কোটি ৪০ লাখ টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। যার মধ্যে বাংলাদেশ সরকারের অর্থ সহায়তা তিন হাজার ৯৬৭ কোটি ২১ লাখ টাকা এবং চীন সরকারের অর্থ সহায়তা পাঁচ হাজার ৯১৩ কোটি ১৯ লাখ টাকা। ২টি টিউব সম্বলিত মূল টানেলটির দৈর্ঘ্য ৩.৪ কিলোমিটার এবং টানেলের পশ্চিম ও পূর্ব প্রান্তে ৫.৩৫ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক এবং ৭২৭ মিটার ওভার ব্রিজসহ এই টানেলটি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলাকে শহরাঞ্চলের সঙ্গে যুক্ত করবে।
প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম শহরকে বাইপাস করে সরাসরি কক্সবাজারের সঙ্গে সহজ যোগাযোগ স্থাপিত হবে। ফলে চট্টগ্রাম শহরের যানজট কমাসহ ভ্রমণ সময় উল্লেখযোগ্য ভাবে হ্রাস পাবে।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে সেতু বিভাগের সিনিয়র সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এবং বাংলাদেশ নৌবাহিনীর প্রধান ভাইস এডমিরাল আওরঙ্গজেব চৌধুরীসহ বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ ও বাংলাদেশ নৌবাহিনীর অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।