Facebook Twitter Instagram
    সংবাদ শিরোনাম
    • সর্বোচ্চ ঝাঁকুনি দেখল বাংলাদেশ : বিশেষজ্ঞ
    • বেলকুচির বিএনপি নেতা রাজ্জাক মণ্ডলের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার 
    • বেলকুচিতে “মাহিন সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার, প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন! 
    • রাজ্জাক আমার সব ওরে ছাড়া বাঁচবো না
    • উজিরপুর উপজেলা প্রেসক্লাবের কমিটি গঠন, সভাপতি মাসুম সম্পাদক মুন্না 
    • আত্মহত্যাকারীর জন্য কি দোয়া করা যাবে? আত্মহত্যা আল্লাহর নিয়মের ওপর চূড়ান্ত হস্তক্ষেপ
    • ছাত্র-জনতার আন্দোলন ২০২৪-এর সকল শহীদদের স্মরণে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত
    • চৌহালী যুব অধিকার পরিষদের কমিটি গঠন, সভাপতি হাসান খান তীব্র ও সম্পাদক মো: শাহজালাল রহমান 
    • উল্লাপাড়া সরকারি আকবর আলী কলেজ ছাত্রদলের নবগঠিত কমিটিকে স্বাগত জানিয়ে আনন্দ মিছিল 
    • সিরাজগঞ্জে খাজা মোজাম্মেল হক্ (রঃ) ফাউন্ডেশন বৃত্তি ও সনদ প্রদান
    Facebook Twitter Instagram
    www.ss24bd.comwww.ss24bd.com
    • প্রচ্ছদ
    • জাতীয়
    • রাজধানী
    • রাজনীতি
    • আন্তর্জাতিক
    • বরিশাল বিভাগ
      • বরিশাল
      • পটুয়াখালী
      • ঝালকাঠি
      • পিরোজপুর
      • বরগুনা
      • ভোলা
    • সকল বিভাগ
      • ঢাকা বিভাগ
        • নরসিংদী
        • গাজীপুর
        • শরিয়তপুর
        • নারায়ণগঞ্জ
        • টাঙ্গাইল
        • কিশোরগঞ্জ
        • মানিকগঞ্জ
        • ঢাকা
        • মুন্সিগঞ্জ
        • মাদারিপুর
        • রাজবাড়ী
        • গোপালগঞ্জ
        • ফরিদপুর
      • খুলনা বিভাগ
        • চুয়াডাঙ্গা
        • ঝিনাইদহ
        • নড়াইল
        • বাগেরহাট
        • মাগুরা
        • মেহেরপুর
        • যশোর
        • কুষ্টিয়া
        • সাতক্ষীরা
      • চট্টগ্রাম বিভাগ
        • চট্টগ্রাম
        • কক্সবাজার
        • কুমিল্লা
        • খাগড়াছড়ি
        • চাঁদপুর
        • ব্রাহ্মণবাড়িয়া
        • মাইজদী
        • নোয়াখালী
        • রাঙ্গামাটি
        • লক্ষ্মীপুর
        • ফেনী
        • বান্দরবান
      • রাজশাহী বিভাগ
        • নওগাঁ
        • নাটোর
        • পাবনা
        • বগুড়া
        • রাজশাহী
        • চাঁপাইনবাবগঞ্জ
        • জয়পুরহাট
        • সিরাজগঞ্জ
      • সিলেট বিভাগ
        • সিলেট
        • সুনামগঞ্জ
        • হবিগঞ্জ
        • মৌলভীবাজার
      • রংপুর বিভাগ
        • দিনাজপুর
        • নীলফামারী
        • পঞ্চগড়
        • রংপুর
        • গাইবান্ধা
        • ঠাকুরগাঁও
        • লালমনিরহাট
        • কুড়িগ্রাম
      • ময়মনসিংহ বিভাগ
        • ময়মনসিংহ
        • নেত্রকোনা
        • জামালপুর
        • শেরপুর
    • খেলা
      • ফুটবল
      • বিপিএল
      • ভলিবল
      • কাবাডি
      • হকি
      • টেনিস
      • হ্যান্ডবল
      • ক্রিকেট
    • অন্যান্য
      • ইসলাম ও জীবন
      • রেসিপি
      • স্বাস্থ্য, ফিটনেস ও চিকিৎসা
      • ভিডিও গ্যালারি
      • ফিচার
      • বিনোদন
      • তথ্যপ্রযুক্তি
      • সম্পাদকীয়
      • সাহিত্য
      • লাইফ স্টাইল
      • শিক্ষা
    www.ss24bd.comwww.ss24bd.com
    Home»অন্যান্য»ফিচার»বিভিন্ন এনজিও’র দ্বারস্থ হয়ে ক্ষুদ্র ঋণে জর্জরিত হতদরিদ্র মানুষ
    ফিচার

    বিভিন্ন এনজিও’র দ্বারস্থ হয়ে ক্ষুদ্র ঋণে জর্জরিত হতদরিদ্র মানুষ

    এস.এস টুয়েন্টিফোর ডেস্কBy এস.এস টুয়েন্টিফোর ডেস্কMay 12, 2019No Comments0 Views
    Facebook Twitter Pinterest LinkedIn WhatsApp Reddit Tumblr Email
    Share
    Facebook Twitter LinkedIn Pinterest Email

    নজরুল ইসলাম তোফা: এদেশের অধিকাংশ মানুষ শ্রমিক, মজুর। তাদের মাথার ঘাম ঝরিয়েই উপার্জন আসে কৃষি কাজ করে। এই দেশ কৃষিভিত্তিক হওয়া সত্ত্বেও মুক্তবাজার অর্থনীতির নগ্নথাবা কৃষিতে যেন ভঙ্গুরতার সৃষ্টি করে। কৃষির অনগ্রসরতার কারণেই দরিদ্রতার ঘেরাটোপে প্রায়শই গ্রামাঞ্চলের সাধারণ মানুষ ক্ষুদ্রঋণের আশ্রয় নিতে হয়। কিন্তু এই ঋণের অর্থ পরিশোধ করার সময় আসলেই তাদের জীবনে নেমে আসে নিদারুণ সমস্যা বা কষ্ট। অনেকেই সেই কষ্ট থেকে মুক্তির জন্য বিভিন্ন উপায়েই ‘ঋণের অর্থ’ শোধ করে। ক্ষুদ্রঋণের আশ্রয় হলো এনজিও। আর এনজিওকেই বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা হিসেবে গন্য করা হয়। তাছাড়া এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর দলিলে লেখা হয়েছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। এনজিওটা হচ্ছে কোনো ‘ব্যক্তি বা গ্রুপ কর্তৃক’ তৈরি করা একটি বৈধ সংগঠন। যা সরকারের সঙ্গে কোনো সম্পর্কেযুক্ত না হয়েই যেন নানা কার্যক্রম পরিচালনা করে। সুুতরাং, অলাভজনক সংগঠন বিশ্ব সহ এ দেশ, সমাজ এবং মানুষের উন্নয়নের জন্যেই যেন নানামুখী কাজ করে থাকে। আবার তাদের বৃহৎ উদ্দেশ্য তা হচ্ছে, বিভিন্ন বিদেশি দাতাদের অর্থায়নের ভিত্তিতে- সরকারকেও উন্নয়নের সহযোগীতা করে কিংবা ”আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে” সক্রিয় অবদান রাখে। বলা যায়, অসহায়ত্ব এবং অক্ষমতাকে পুজিঁ করে, উন্নয়নের নামেই যেন এই এনজিওর ব্যপকতা বা তৎপরতা। কিছু সংখ্যক এমন এনজিওর উদ্দেশ্য, আকার, প্রকার, অঞ্চল বা প্রকৃতিভেদে বাংলাদেশে এখনো কাজ করছে। তারা মাত্রাতিরিক্ত ঋণ এবং সুদ আদান প্রদানের কারণে বেশিরভাগ সময়েই দরিদ্র মানুষ দিশেহারা হয়ে যায় এবং তখনই তারা বিপজ্জনক সিদ্ধান্তের দিকে যেন আগ্রসর হয়। কারণটা জানা যায় যে, তাদের নিজস্ব শরীর ছাড়া যেন কোনো সম্পদ শেষ পর্যন্ত থাকে না যা দিয়ে তারা ঋণ পরিশোধ করতে পারে। তাই তো, বাংলাদেশে সেই সব এনজিওগুলোর মধ্যেই উল্লেখ যোগ্য হলো যেমন:- গ্রামীণ ব্যাংক, আশা, সেইভ দ্য চিলড্রেন, অক্সফাম, এডুকেশনওয়াচ, ব্রাক, একশন এইড, মুসলিম এইড, প্রশিকা ইত্যাদি। বহু এনজিও আবার ব্যবসা বাণিজ্যও করছে তবে তাদের রয়েছে ইনকাম জেনারেটিং প্রজেক্টের আইনগত বৈধতা।

    বাংলাদেশসহ সমগ্র পৃথিবীতে বর্তমানে ছোট কিংবা বড় প্রায় ৪০ হাজার আন্তর্জাতিক এনজিও রয়েছে। পৃথিবীর মোট আয়ের মাত্র ৫ শতাংশের সমান প্রায় ৪০ শতাংশই পৃথিবীর হত-দরিদ্র মানুষরা আয় করে থাকে। সারাবিশ্বে গড়প্রতি দুইটি শিশুর মাঝেই যেন একজন গরীব। তাই দারিদ্রতা বিমোচন লক্ষ্যে যেন এই গুলো এনজিও দাঁড় করানো হয়েছে। পৃথিবীতে কিংবা এই বাংলাদেশের এনজিওগুলোতে যত শ্রম বিক্রি হয় তার ৬৬ শতাংশ নারী থেকে আসে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য শ্রমের জন্যে যে বিনিময় হয় তার মাত্র ১০ শতাংশ পায় এ নারীরা। পৃথিবীর মোট সম্পত্তির শতকরা একভাগের মালিকানাই যেন এই নারীরা। তাই এদেশের এনজিও গুলোতে সামাজিক উন্নয়নে নানাবিধ কার্যক্রম নারী দ্বারাই করে নিচ্ছে। এ নারীকেই পাচ্ছে ক্ষুদ্রঋণ, নারী ও শিশু অধিকার প্রতিষ্ঠা ও জীবনমান উন্নয়ন, শিক্ষা কার্যক্রম, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রম, মানবাধিকার এবং আইনি কার্যক্রম, মানবসম্পদ উন্নয়ন কিংবা গ্রামীণ উন্নয়ন, আদিবাসী উন্নয়ন, উন্নয়ন গবেষণা, বাজার গবেষণা, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা উন্নয়ন, জেন্ডার, পরিবেশ, মিডিয়া, কৃষি, কর্ম সংস্থান ইত্যাদি। তবুও- এ নারীরা যেন মাথা তুলে দাঁড়াতে পারছে না। তারা এনজিও কর্তৃপক্ষকে দোষারোপ করে বলে, গ্রামীণ ব্যাংক এবং ব্র্যাকের মতো বহু প্রতিষ্ঠান ঋণের অর্থ পরিশোধে খুব নগ্ন ভাবে যেন চাপ প্রয়োগ করে ঋণ গ্রহীতাদের ওপর। শুনা যায় যে তাদেরকে শারীরিক ভাবেও নির্যাতন বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দিয়ে গ্রেপ্তার করানো হবে এমন ভয়ও দেখানো হয়।

    সুতরাং যে কোনো এনজিওর সাফল্য কিংবা দুর্নীতি বা সুনাম নষ্ট হয় টিম ওয়ার্কের ওপর। এ টিমওয়ার্ক মূলত একই উদ্দেশ্যেই যেন এক বৃহৎ সংঘবদ্ধ কর্ম। প্রকল্প ব্যবস্থাপককে এ জন্যেই তার টিমের ব্যাপারে সজাগ থাকতে হয়। টিম খুব ভালো করলেই তাদের প্রোজেক্টের আউটপুট ভালো হয়। আর টিম খারাপ করলে প্রোজেক্টে এর বিরূপ প্রভাব পড়বে। এজন্য প্রকল্প ব্যবস্থাপককে সংস্থার মিশন-ভিশনের সঙ্গেই প্রকল্পের যোগসূত্র সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা দিতে হয় তার টিমকে। তাই সবাই যাতে একই উদ্দেশ্যে নিয়ে সমান ভাবে নিজের দক্ষতাকে কাজে লাগাতে পারে তার জন্য নিতে হয় এনজিওগুলোর নানা পদক্ষেপ। যেকোনো এনজিও গুলো’র টিকে থাকা নির্ভর করে বৈদেশিক সাহায্য এবং তাদের নিজস্ব সম্পদ আছে কিনা তার ওপর। বাংলাদেশের অধিকাংশ এনজিও মূলত দাতাদের কাছ থেকে প্রাপ্ত অর্থ দিয়েই তাদের সুবিধা ভোগীদের সেবা দিয়ে থাকে। এমন এ সেবার মেয়াদ ‘বিভিন্ন প্রকল্পের ছকে’ বাঁধা থাকে। প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে যেন ঐ সেবার সমাপ্তি ঘটে। আর তখন তাদের খুঁজার প্রয়োজন হয়, নতুন নতুন প্রোজেক্ট। বিকল্প কোনো ‘ফান্ড’। নিজস্ব ফান্ড তৈরি তাই গুরুত্বপূর্ণ। স্বাধীন দেশে সংবিধান এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সনদ কিংবা অধিকার অনুযায়ী সকল মানুষের অধিকার সমান প্রাপ্তি- এমন কথাটি জানা, বোঝা এবং চর্চ্চায় এনজিও’রা একটা বড়ো ভূমিকা রাখলেও হতদরিদ্র নারী ব্যথিত সবাই পায় না। তাই, বিভিন্ন ইস্যুতে দেশের মানুষের মনোগঠন পরিবর্তনে তারা উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে যেন ব্যর্থ হয়েছে। হতদরিদ্রের মধ্যেই কেউ কেউ ঋণের টাকা শোধ না দিতে পেরে সবার অগোচরে নিজ গ্রাম ছাড়া হয়েছে এমন ঘটনাও ঘটেছে।

    জানা দরকার যে এমন এই এনজিওগুলোর উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত অমুনাফাভিত্তিক এক ধরনের বিশেষ স্বেচ্ছা সেবী সামাজিক সংগঠন। সরকারের দৃষ্টিতেই সার্বিক উন্নয়নের জন্যে বেসরকারি সাহায্য হতেই এনজিও’র সূচনা। একবিংশ শতাব্দীর সূচনা লগ্নে উন্নয়নশীল দেশগুলোতেই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার প্রবৃদ্ধি কিংবা কার্যকরণের সম্প্রসারণ ঘটে। সুতরাং ‘এনজিও’ শুধুই যে জাতীয় ভাবে তা নয়, আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়েই বিস্তৃতি ঘটেছে। দারিদ্র্য দূরীকরণ এবং পল্লী উন্নয়নেও কাজ করছে এইসব এনজিও। বর্তমানে এনজিওগুলোর মূল কাজ হচ্ছে মানুষের মধ্যে যে আত্ম বিকাশের ক্ষমতা রয়েছে তা কাজে লাগানো। ‘মানুষ’ যেন নিজেই নিজের অবস্থা পরিবর্তন করতে পারে তার ব্যবস্থা করে দেওয়া। এ প্রক্রিয়া থেকেই সুবিধা বঞ্চিত ‘হত-দরিদ্র জনগোষ্ঠী’ যখন লাভবান হন তখন তাদের মধ্যে একটি বিশেষ আত্মতৃপ্তি কাজ করে, তাতে করে তাদের সামাজিক মর্যাদা বাড়ে- যা তাদের আরো সামনে এগিয়ে যেতে উদ্বুদ্ধ করে। এনজিও গুলো দেখে যে, একটি নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠী এবং লোকালয়ের মানুষদের কোন্‌ কোন্‌ ক্ষেত্রে উন্নয়ন প্রয়োজন সেই অনুযায়ী তারা কাজও করে থাকে। বাংলাদেশের সব জায়গাতে এরা কাজ করে থাকে। আবার এনজিওর মধ্যে যেন কিছু কিছু শহরকেন্দ্রীক, কিছু রয়েছে গ্রাম কেন্দ্রীক, তাছাড়াও কিছু এনজিওগুলো যারা কিনা শহর ও গ্রামাঞ্চলের উভয় জায়গায় কর্মপরিচালনা করে। আসলে এমন এনজিও গুলোর কাজ বিশেষ ভৌগোলিক এলাকা ভিত্তিক-ও হয়ে থাকে, যেমন চর/উপকূলীয়/পার্বত্য এলাকা কেন্দ্রীক এনজিও। বলাই যায়, তারা বিশেষ জনগোষ্ঠীকে নিয়েই নানা ধারার কাজ করে। যেমন: প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠী, শ্রমজীবি শিশু এবং নির্যাতিতা নারী ইত্যাদি। তাই বলতেই হয় যে, এনজিও গুলোর কাজ বহুমুখী, সেখানে তাদের কাজের ক্ষেত্রও যেন অনেক বিস্তৃত। তারা মাঠ পর্যায়ে “ছোট-বড়” বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর সঙ্গে মেলা মেশার সহিত তাদের বিভিন্ন সমস্যার কথাকে সরকার কিংবা সমাজের প্রতিষ্ঠিত মহলকে জানিয়ে থাকে, তাদের মুল উদ্দেশ্য সমাজে যারা হতদরিদ্র জনগোষ্ঠীর ভাগ্য এবং জীবন যাপন সুন্দর হয় সেহেতু বিভিন্ন প্রজেক্ট হাতে নেয়। সুতরাং এর জন্য দাতাগোষ্ঠীর কাছ থেকেও অনুদান সংগ্রহ করে, তাই সামগ্রিকভাবে বিভিন্ন প্রজেক্ট পরিচালনা করে। কিন্তু এতো সুনামের পরও বেশকিছু ঠকবাজ এনজিও সমূহ মানুষের জীবন যাপনের সম্ভাবনাকে ম্লান করে দিয়েছে। নানান স্তরে এনজিওতে অসংখ্য গুরুত্বপূর্ণ কাজ থাকা স্বত্বেও তারা আজকে দারিদ্র্য বিমোচনে নামে- অসহায় মানুষের কাছ থেকেই যেন শতশত কোটি কোটি টাকা উপার্জন করছে।

     

    পরিশেষে বলতে চাই এনজিওতে মানুষের কল্যাণে কাজ করতে হবে স্বতঃস্ফূর্তভাবে। সমাজের সুবিধা বঞ্চিত মানুষদের পাশেই এনজিওর দাঁড়ানোর ইচ্ছা পোষণ করা প্রয়োজন। উন্নয়ন মূলক কর্মে সরাসরি নিজেকে নিয়োজিত করতে পারাটা আনন্দের। তবে এনজিওদের ব্যপারে সমালোচনার পেছনে অনেক কারণ রয়েছে। দেশের অধিকাংশ এনজিও গুলোর তহবিল, মূলধন ও বিনিয়োগ আসে খ্রীস্টান সংগঠন সমূহের পক্ষ থেকে। ‘দরিদ্র’ ক্লায়েন্টদের কাছ থেকে ৪০% ভাগের উপর মুনাফা কিংবা ‘সুদ’ নেয়ার পরও সরকারকে কর দেয় না। তাই সম্পূর্ণ করমুক্ত সুবিধা পায়। ”এনজিও ব্যুরোর নিয়মানুযায়ী”- বলা যায় যে, প্রতিটি প্রকল্পের পনেরভাগ টাকা প্রশাসনিক ব্যয়ের জন্য রেখে বাকি পঁচাশি ভাগ টাকা কর্মসূচির কাজে ব্যয় করতে হবে। অথচ এমনও দেখা যায়, প্রকল্পের বরাদ্দের শতকরা ৮০ ভাগ যায় পরিবহন ও বিদেশী কর্মকর্তা উপদেষ্টাদের পেছনে। আবার পনেরো ভাগ ব্যয় করে স্থানীয় কর্মচারীদের পেছনেই এবং টার্গেট গ্রুপের জন্য ব্যয় হয় শতকরা মাত্র ৫ ভাগ। সুতরাং এই সকল আয় এনজিওগুলোর থাকতেই হবে আর তা যেন আসবে একেবারেই হতদরিদ্র মানুষের হাতে ধরে। অতএব ঋণগ্রহীতাদের কণ্ঠেই যেন ফুটে ওঠে সামগ্রিকভাবে এনজিওর বিরূপচিত্র। একজন ভ্যান চালকে জিজ্ঞেস করে জানা যায় যে, সে বেশ গরীব, তার অনেকগুলো এনজিওতে নাকি ঋণ আছে যার পরিমাণ প্রায়- ‘১ লাখ’ টাকা। পরিশ্রম করেও ঋণের টাকা শোধ করতে পারছে না। এনজিওর কথা মতো বাড়ির সকল আসবাবপত্র বিক্রি করে দিয়ে “ঋণের টাকা পরিশোধ করেছে। এক দিকে এনজিও গুলো সরকারকে বুঝিয়ে ফায়দা হাসিল করছে অন্যদিকে গরীবরা ঋণ নিয়ে লাভের চেয়ে ক্ষয়- ক্ষতির মধ্যেই পড়ছে। সুতরাং, কেন তারা সফলতা অর্জন করতে পারছে না এনজিওকেই চিহ্নিত করতে হবে। সে সব সামাজিক সমস্যা চিহ্নিত করে সমাধানের প্রয়োজন বলে মনে করি। তাহলেই এনজিওর মাধ্যমে দারিদ্র্য, পথশিশু, কিশোর অপরাধ,মাদকাসক্তি, নারীর প্রতি সহিংসতা, দুর্নীতি, সহায়হীন বার্ধক্য এবং অসহায়ত্ব দূর হবে। সরকার এমন এই এনজিও গুলোর দিকে খুব কঠোর দৃষ্টি না দিলে- “উন্নয়ন সচেতনতা কিংবা সামাজিক সমস্যাগুলো” দূর হবে না।

    লেখক:
    নজরুল ইসলাম তোফা,

    টিভি ও মঞ্চ অভিনেতা, চিত্রশিল্পী, সাংবাদিক,  কলামিষ্ট এবং প্রভাষক।

    Share. Facebook Twitter Pinterest LinkedIn Tumblr Telegram Email
    এস.এস টুয়েন্টিফোর ডেস্ক

    Related Posts

    একুশঃ ভাষা থেকে স্বাধিনতা–মুহাম্মদ শামসুল ইসলাম সাদিক

    February 17, 2022

    পরকীয়া ভয়ঙ্কর এক ব্যাধি

    October 30, 2021

    শখ মিটে গেছেঃ শবনম ফারিয়া

    September 25, 2021

    Leave A Reply Cancel Reply

    © 2025 SS24BD Designed by SS24BD.COM.

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.

    Go to mobile version