ধুলটে সুখের খোজে।। মুহাম্মদ সাঈদ
একমুঠো জোছনা দিও-একফোটা ভোরের শিশির
তার সাথে একটু ছোয়া প্রশান্তির!
একরাশ ভালোবাসা দিও-এক আকাশ শুভাশিস,
পৌষ পার্বনে সুগন্ধি বাসমতি চাল;
শর্ষের সাথে রুপালি ইলিশ!ধুলটে কাস্তে-কোদাল
লাঙল-জোয়াল,বর্ষায় বাহারী নৌকা,হেমন্ত ধানেরশীষ!
এক চিলতে নীলাকাশ দিও-বিনিদ্র রাত্রিতে ঘুম
ফুলের আঙ্গিনা জুড়ে বিছিয়ে দিও –
বিরল বসন্ত মৌসুম! সুখের আলপনা একে দিও-
সচরাচর তোমার যেমন ইচ্ছে হয়;
একটু সহনশীলতায়-সরল অনুভূতি ছড়ায়ে দিও
আরব সাগর হতে-আন্দিজ,আল্পস,আলাস্কা,হিমা লয়!
একটু সুবাতাস দিও-দখিনের খোলা জানালায়-
কার্নিশে সফেদ শার্সি উড়িয়ে দিও-
রোদ্রের পর্দা সরায়ে!বুনোপাখিদের বিহ্বলতা দিও
সবুজ ঘাসের কোমল বিছানায়;
একটু সম্মোহিত করো-বিরহপীড়িত দুঃখের কালে এসে
মনে রেখ আমি তোমারই আছি-জন্মাবধি ভালোবেসে!
সবুজ উচ্ছাস ।। মুহাম্মদ সাঈদ
অসমাপ্ত দিবসব্যাপী প্রেম প্রার্থনা করে গেছে যারা
ইশারায় রেখেছে যাবতীয় লুকোচুরি-
ঘ্রাণের আহবানে সাজিয়েছে-সহিষ্ণু পথের পাহারা
এরকম উপাখ্যান রয়েছে ভুরিভূরি!
এক নারী আর ঘাসফুল-একমুঠো সবুজ উচ্ছাস
একফোঁটা লোনাজলে-সফেদ আচকান
আতর,লোবান আর বিবিধ সুগন্ধি জুড়ে চারপাশ
কতবার শোনায়ে গেছে আগমনী গান।
ছায়াবৃত বিষাদ ঘুমে-সভ্যতা চলে গেছে বহুদূর
ফিরিয়ে দিয়ে লোকাচার আর প্রয়োজন
সময়ের দুপায়ে বেধে রহস্যময় রুপোর ঘুঙ্গুর
নেচেছে অগ্নি নৈঋতে অবলা আয়োজন!
উপমারহিত শব্দঋণে কেউ কেউ হয়েছে জর্জর,
লৌকিক স্বপ্নের মায়াকাননে হেটে হেটে-
আলোর উৎসবে উজ্জ্বল হয়েছে কারো বসত ঘর
বিবর্তনের দিনে দুঃখ ইতিহাস ঘেটে!
তিতলি।। মুহাম্মদ সাঈদ
তিতলি,এবার না আসলেই’ কি নয়!
আগুনমুখো,বলেশ্বরী,মেঘনার মোহনায়;
শুনতে চাইনা আর্তনাদ-আহাজারি!
কোনো বিষাদের সুর;আর কারো সিঁথির সিদূর-
মুছে যাক ধ্বংসলীলায়।
গর্ভবতী বাসমতী, লাল কাতিজাল, ডাহুকী, চড়ুইপাখি আর হরিয়াল!
দুর্যোগ হাওয়ায় একটু আশ্রয় চায়;
তোমার প্রিয়বোন নার্গিস!
প্রিয় ভাই আইলা-সিডর; কাকু মহাসেন!
তাদেরকেও মিনতি রেখেছিলাম-অনেক হয়েছে-এবার একটু থামেন।
তিতলি,শরত শুদ্ধতায় তুমি ফিরে যাও-
রাখো অনুরোধ-কি অন্যায় করেছে প্রকৃতি -কেন এই প্রতিশোধ!
সুবোধ বালিকার মত-ভুলে যাও যত দুঃখ ক্রোধ;
বিবেকের দরজায় সারা দাও ভুলে আক্রোশ
একটু মানোই না হয় -পৃথিবীর দোষ।