জেলার উজিরপুর মডেল থানার ওসি জিয়াউল আহসানের হস্তক্ষেপে ফুটফুটে শিশুটি রক্ষা পেল বিক্রয়ের হাত থেকে। গুঞ্জন রয়ে গেছে শিশুটির আসল পরিচয় নিয়ে। উপজেলার শোলক ইউনিয়নের দত্তেশ্বর গ্রামে প্রায় ২ মাস বয়সি শিশুটি বিক্রি কারর প্রস্তুতি চলছিলো। সেই মুহুর্তে ২০ ডিসেম্বর শুক্রবার সকালে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ওই গ্রামের দিনমজুর শহিদুল ইসলাম খানের স্ত্রী বকুলী বেগমের কাছ থেকে শিশুটি উদ্ধার করে বিকেলে থানায় নিয়ে আসে। পরে ওসি বিকেল ৪টায় শিশুটিকে ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নুরুল হক সরদারের জিম্মায় দিয়ে তার আসল পরিচয় উদ্ধারে তৎপরতা শুরু করেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দত্তেশ্বর গ্রামের বকুলী বেগম প্রায় এক মাস আগে একটি শিশু পুত্র সন্তানকে লালন পালন করছে। নবজাতকটি ৫০ হাজার টাকা বিনিময়ে বিক্রির কথাবার্তা চূড়ান্ত হলে উজিরপুর থানার ওসি জিয়াউল আহসান তাৎক্ষণিক ভাবে বিষয়টি জানতে পেরে একদল পুলিশ পাঠালে বিক্রয় প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায় ও নবজাতক শিশুটি থানায় নিয়ে আসে। বকুল বেগম জানান, তার নিকটতম আত্মীয় ভগ্নীপতি ফারুক হোসেন বরিশাল শেবাচিম হাসপাতাল থেকে ঝালকাঠী জেলার নলছিটি উপজেলার মগরা গ্রামের মৃত শরিয়ত খানের পুত্র জামাল খানের নিকট থেকে শিশুটিতে দত্তক এনে আমার লালন পালন করার জন্য দেয়। ফারুকের স্ত্রী বর্তমানে প্রবাসে রয়েছে। এলাকার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানিয়েছে, ওই নবজাতক শিশুটিকে বকুলী বেগমের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে ক্রয় করতে চেয়েছিল একই এলাকার শাহিনুর বেগম। উজিরপুর মডেল থানার ওসি জিয়াউল আহসান জানান, ইতিমধ্যে শিশুটিকে উদ্ধার করে ওই এলাকার ইউপি সদস্যর জিম্মায় রাখা হয়েছে এবং শিশুটির প্রকৃত পিতা মাতার খোঁজে ইতিমধ্যে আমাদের ব্যাপক তৎপরতা শুরু করা হয়েছে। প্রকৃত পিতা মাতাকে পেলে তাদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। অন্যথায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Share.

Leave A Reply

Exit mobile version