রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে বছরের পর বছর পার করলেও সিরাজগঞ্জে রায়গঞ্জের বিধবা ফরিদার ভাগ্যে সরকারের ঘর জোটেনি’। তার কুঁড়েঘরে বৃষ্টিতে পানি পড়ে, রোদের তেজ আর শীতের হাওয়া- দুইই ঢোকে বিনা বাধায়।
উপজেলার পাঙ্গাসী ইউনিয়নের শ্রীদাসগাঁতী গ্রামের এই হতদরিদ্র নারী এই কুঁড়েঘরে থাকেন দীর্ঘদিন থেকে। বসবাসের অনুপোযোগী হলেও চরম কষ্ট সহ্য করে সেখানে থাকেন, আর অন্যের বাড়ীতে কাজ করে জীবন চালান।,
এরই মধ্যে থাকার ঘরটি বয়সের ভারে জীর্ণশীর্ণ হয়ে পড়ে। নষ্ট হয়ে যায় ঘরের বাঁশের খুঁটি, বেড়া এবং চালের টিন। চালের ফুটো দিয়ে রাতের চাঁদ তারা সবকিছুই গোনা যায়। ঘরটির জীর্ণ বেড়া ছেঁড়া কাপড় আর চট দিয়ে জোড়াতালি দেওয়া। শীতে তীব্র ঠান্ডা আর বর্ষায় বৃষ্টির পানিতে ভিজে একাকার হয়ে এই ঘরের মাটিতেই শয়ন আর এক কোণে চলে রান্নার কাজ।,
বিধবা ফরিদা জানান, অনেক কষ্টে এই ঘরে বাস করেন তিনি। কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই। বৃষ্টি হলে ঘরের কাঁথা-বালিশসহ সবকিছু ভিজে যায়। রাতে বৃষ্টি হলে তাকে ভিজতে হয়। ভারি বৃষ্টিপাত হলে সবকিছু রেখে অন্যের বাড়ির বারান্দায় রাত পার করতে হয়। সমাজের বিত্তশালীরা আমার ঘরটি মেরামত করে দিলে দুর্ভোগ লাঘব হত’।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৃপ্তি কণা মন্ডল বলেন, বিধবা ফরিদার বিষয়টি খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে যতটুকু সম্ভব সহযোগিতা করা হবে।

Share.

Leave A Reply

Exit mobile version