Facebook Twitter Instagram
    সংবাদ শিরোনাম
    • সর্বোচ্চ ঝাঁকুনি দেখল বাংলাদেশ : বিশেষজ্ঞ
    • বেলকুচির বিএনপি নেতা রাজ্জাক মণ্ডলের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার 
    • বেলকুচিতে “মাহিন সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার, প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন! 
    • রাজ্জাক আমার সব ওরে ছাড়া বাঁচবো না
    • উজিরপুর উপজেলা প্রেসক্লাবের কমিটি গঠন, সভাপতি মাসুম সম্পাদক মুন্না 
    • আত্মহত্যাকারীর জন্য কি দোয়া করা যাবে? আত্মহত্যা আল্লাহর নিয়মের ওপর চূড়ান্ত হস্তক্ষেপ
    • ছাত্র-জনতার আন্দোলন ২০২৪-এর সকল শহীদদের স্মরণে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত
    • চৌহালী যুব অধিকার পরিষদের কমিটি গঠন, সভাপতি হাসান খান তীব্র ও সম্পাদক মো: শাহজালাল রহমান 
    • উল্লাপাড়া সরকারি আকবর আলী কলেজ ছাত্রদলের নবগঠিত কমিটিকে স্বাগত জানিয়ে আনন্দ মিছিল 
    • সিরাজগঞ্জে খাজা মোজাম্মেল হক্ (রঃ) ফাউন্ডেশন বৃত্তি ও সনদ প্রদান
    Facebook Twitter Instagram
    www.ss24bd.comwww.ss24bd.com
    • প্রচ্ছদ
    • জাতীয়
    • রাজধানী
    • রাজনীতি
    • আন্তর্জাতিক
    • বরিশাল বিভাগ
      • বরিশাল
      • পটুয়াখালী
      • ঝালকাঠি
      • পিরোজপুর
      • বরগুনা
      • ভোলা
    • সকল বিভাগ
      • ঢাকা বিভাগ
        • নরসিংদী
        • গাজীপুর
        • শরিয়তপুর
        • নারায়ণগঞ্জ
        • টাঙ্গাইল
        • কিশোরগঞ্জ
        • মানিকগঞ্জ
        • ঢাকা
        • মুন্সিগঞ্জ
        • মাদারিপুর
        • রাজবাড়ী
        • গোপালগঞ্জ
        • ফরিদপুর
      • খুলনা বিভাগ
        • চুয়াডাঙ্গা
        • ঝিনাইদহ
        • নড়াইল
        • বাগেরহাট
        • মাগুরা
        • মেহেরপুর
        • যশোর
        • কুষ্টিয়া
        • সাতক্ষীরা
      • চট্টগ্রাম বিভাগ
        • চট্টগ্রাম
        • কক্সবাজার
        • কুমিল্লা
        • খাগড়াছড়ি
        • চাঁদপুর
        • ব্রাহ্মণবাড়িয়া
        • মাইজদী
        • নোয়াখালী
        • রাঙ্গামাটি
        • লক্ষ্মীপুর
        • ফেনী
        • বান্দরবান
      • রাজশাহী বিভাগ
        • নওগাঁ
        • নাটোর
        • পাবনা
        • বগুড়া
        • রাজশাহী
        • চাঁপাইনবাবগঞ্জ
        • জয়পুরহাট
        • সিরাজগঞ্জ
      • সিলেট বিভাগ
        • সিলেট
        • সুনামগঞ্জ
        • হবিগঞ্জ
        • মৌলভীবাজার
      • রংপুর বিভাগ
        • দিনাজপুর
        • নীলফামারী
        • পঞ্চগড়
        • রংপুর
        • গাইবান্ধা
        • ঠাকুরগাঁও
        • লালমনিরহাট
        • কুড়িগ্রাম
      • ময়মনসিংহ বিভাগ
        • ময়মনসিংহ
        • নেত্রকোনা
        • জামালপুর
        • শেরপুর
    • খেলা
      • ফুটবল
      • বিপিএল
      • ভলিবল
      • কাবাডি
      • হকি
      • টেনিস
      • হ্যান্ডবল
      • ক্রিকেট
    • অন্যান্য
      • ইসলাম ও জীবন
      • রেসিপি
      • স্বাস্থ্য, ফিটনেস ও চিকিৎসা
      • ভিডিও গ্যালারি
      • ফিচার
      • বিনোদন
      • তথ্যপ্রযুক্তি
      • সম্পাদকীয়
      • সাহিত্য
      • লাইফ স্টাইল
      • শিক্ষা
    www.ss24bd.comwww.ss24bd.com
    Home»অন্যান্য»ফিচার»স্বরচিত অর্ধশতক গানের রচয়িতা ও সংগীতশিল্পী শফি সরকারের উপাখ্যান
    ফিচার

    স্বরচিত অর্ধশতক গানের রচয়িতা ও সংগীতশিল্পী শফি সরকারের উপাখ্যান

    আরিফুর রহমান সুমনBy আরিফুর রহমান সুমনJune 1, 2020Updated:June 1, 2020No Comments1 Views
    Facebook Twitter Pinterest LinkedIn WhatsApp Reddit Tumblr Email
    Share
    Facebook Twitter LinkedIn Pinterest Email
    এই পৃথিবীতে যুগেযুগেই কিছু মানুষের সৃষ্টি হয়েছে। তাদের আছে কোটি কোটি টাকা, ভোগ-বিলাস, ধন-সম্পদ, বাড়ি-গাড়ি তারা নিজ জীবন নিয়েই যেন স্বপ্নে বিভোর। কিন্তু এমন কিছু বিকল্প চিন্তা চেতনার মানুষের সন্ধান পাওয়া যায়, তাঁদের জীবনটার নন্যতম চাহিদা নেই! নেই কোন কিছুর মোহ! নেই মনের ইচ্ছা পূরণের উচ্চাকাঙ্খা। তাঁদের জীবনকে সঠিক পথে পরিচালনার উদ্দেশ্য অতীব ক্ষিন। অর্থের কোনো লোভ না থাকলেও প্রয়োজন শুধু আছে মনের তৃপ্তি মিটানোর ইচ্ছা। সুতরাং বলা যায়: এই সরল, প্রতিভাবান, কোমল মনের মানুষটি শুধু স্বপ্ন দেখেন গানের জগৎ নিয়ে। এই গানের জগতের বহুগুনের অধিকারী মানুষটি, সবাইকে অবাক করে দেওয়ার মতো প্রতিভা রেখেচলেছেন। তাঁর স্বরচিত গানের নেশাটা নিত্য দিনের জীবন সঙ্গী। নামটি তাঁর মোঃ শফিকুল ইসলাম ওরফে শফি সরকার। ধর্ম ও বিজ্ঞান নিয়ে তার সঙ্গে বিস্তর কথা বার্তা হয়েছে। “ধর্মের সাথা বিজ্ঞান” এর সংঘর্ষ না কি মানুষের যথেষ্ঠ সন্ধিহান রয়েছে। কোন কোন ধর্মের সাথেই রক্তা রক্তির ঘটনাও আছে ইতিহাসের পাতায়। তবে ‘পবিত্র কুরআন’ থেকে উৎসারিত ধর্ম, ইসলামের সাথে প্রকৃত বিজ্ঞানের বিরোধ ছিলনা অতীতে, বর্তমানেও কোনো বিবোধ নেই এবং ভবিষ্যতেও হবেনা তা তিনি কথা প্রসঙ্গে বললেন। ধর্ম ও বিজ্ঞান নিয়ে প্রাসঙ্গিক কিছু কথার প্রতিফলনেই তাৎক্ষনিক লিখেন স্বরচিত একটি গান। আর তা নিয়েই নজরুল ইসলাম তোফা লিখলেন তাঁর “জীবন কাহিনী”। কি যে অবাক- এই মানুষ! তাঁর প্রতিভার তুলনা হয় না। প্রাকৃতিক জগতটাকে জানার আগ্রহ কতো যে প্রবল তা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না।
    এটা নাকি তাঁর বিনোদনের মাধ্যম। সঠিজভাবে ”বিজ্ঞানের জ্ঞান এবং কর্মের মাঝে” আছে যে সব জ্ঞান তাকে কাজে লাগিয়েই গান লিখেন। সুতরাং- উক্ত বিষয়ের ওপর কোন ব্যক্তির যথাযথ জ্ঞান যদি না থাকে তাহলে নাকি বিজ্ঞান এবং নিজ কর্ম নিয়ে গান লেখা সম্ভব নয়। যেকোন মানুষদের যদি বিজ্ঞানের আলোকে এই পন্থায় সংগীত চর্চায় অগ্রসর হন তাহলেই তাঁদের বিদ্যা বুদ্ধির স্বীকৃতি স্বরূপ: বুদ্ধিজীবী, বিজ্ঞানী, প্রগতিশীল, সুশীল বা আরেও অনেক শিহরণ সৃষ্টিকারী লোক ”গানের ভান্ডারকে সমৃদ্ধি” করতে পারবেন বলেই তাঁর ধারনা। তাঁর সৃষ্টি গানের সুর বা শব্দ ফোক গানের অাদলে সমৃদ্ধ রয়েছে। সমাজে তাঁর অবস্থান সম্পর্কেই তিনি বলেন, বিজ্ঞানের মূল কথাই হচ্ছে যুক্তি ও প্রমাণ। তাই তিনি গানের সুরেই বলেন: চলছে গাড়ী পজেটিভ,.. ব্রেক মারিলে হয়রে নেগেটিভ।.গানের কথায় শফিকুল, বিজ্ঞানীদের বাজাই ঢোল।.আলোক বর্ষ গেছে কতদূর।. ঐ দর্শন হইতে দার্শনিক হয়,……. যুক্তি বিদ্যা নাম সপ্তম আসমান। কত দূরে নবীর হাদীস টান,..আলোক বর্ষ কে বুঝে। বিজ্ঞানীদের খবর দে। সপ্তম আসমান পরে আছে কে? তিনি লেখা পড়া ছেড়ে দিয়েই অত্যন্ত ব্যথিত চিত্তে কৃষি কাজে নেমেছিলেন। বিকেলে তাঁর আড্ডা স্হান ‘কুলার বিল’ থেকে পদ্মা নদীতে প্রবাহিত মধ্যবর্তী একটি শিবো নদীর পাশেই ধানুরা গ্রামে। সেই শিবো নদীর পাড়ে বসে সূর্য্যাস্তের লগ্নে যেন, মোঃ শফিকুল ইসলাম ওরফে শফি সরকার আকাশ দেখেন এবং বিজ্ঞান জগতের ভাবনায় জাগ্রত হতে থাকেন। তাঁর অত্যন্ত জনপ্রিয় স্বরচিত গান যেমনটি;- মহাশূন্যের রকেট ঘাঁটি দেখতে যাব নাকি,….. বিজ্ঞান বেটা কর্মের সাথী হাতে লাগাও তালি।…তোমরা কেন বুঝনা মঙ্গল গ্রহের ঘটনা,.কর্ম ছাড়া ধর্ম হবে না।..
    তাঁর সৃষ্টিশীল স্বরচিত গানের বাঁকেবাঁকেই সুরের মুর্সনা ও কথার ভেতর দিয়ে ভুবনকে দেখার যে আনন্দ, মহান আল্লাহ তাআলার নৈকট্য লাভের আসল দিক, মানুষের মাঝে প্রকৃত মানুষ খোঁজার এক আদর্শীক দৃষ্টান্ত কিংবা প্রকৃতির রূপ বদলের নান্দনিক ও ভয়ানক দুর্যোগ এবং দূর্ঘটনার ‘ইতিবাচক বা নেতিবাচক’ দিকটা তোলে ধরার প্রবনতা রয়েছে। কৃষি কাজ করতে গিয়ে ‘কৃষক-শ্রমিক সহ সাধারণদের আচার আচরন পর্যবেক্ষণের মাধ্যমেও অত্যন্ত জনপ্রিয় গান লিখা ও তা গেয়ে গ্রামের অগনিত মানুষদের আনন্দ জুগিয়েছন। তাঁর গানেই যেন কোমল ফোক সুরের ছোঁয়া ‘ধানুরা গ্রাম বাসি’ বা তানোর থানার মানুষকে অবাক করিয়েছেন। জেনে নেওয়া যাক, এমন মানুষটির পরিপূর্ণ জীবন কাহিনীর আদ্যোপান্ত।
    রাজশাহী জেলার তানোর থানায়- ”ছয় নম্বর কামার গাঁ” ইউনিয়নের ধানুরা গ্রামে তাঁর জন্ম হয়। বাবা স্কুলমাষ্টার মোঃ আব্দুর রহমান আর মাতা, মোছা: শুরভান বেওয়া একজন পর্দাশীল গৃহিণী মহিলা। তাঁর বাবা সারা জীবন শিক্ষার গর্ভে চলেছে, গ্রামে অজস্র মানুষকে পরিচালিত করেছেন। আর ছাত্র ছাত্রীদেরকে ভালো করে পড়িয়েও বৃত্তি ধরিয়েছেন। ”সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে” তাঁর বাবার বহু ভূমিকা থাকে, সেই অনুষ্ঠান গুলো পরিচালনাও করেন। এ থেকেই মোঃ শফিকুক ইসলাম শফি সরকার উদ্বোধ্য হয়েই গানের জগতে আসেন। আর বড় ভাই মোঃ শহিদ মাষ্টার, নিজ প্রামের- “সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়” এর শিক্ষক। একমাত্র বোন- ‘মোছাঃ শামসুন নাহার হেলেনা’ সহ দুই ভাইকে নিয়ে বাবার এক “ছোট সংসার”। তাদের বাবার ‘আঠার বিঘা’ পৈতৃক সম্পত্তির ভাগ বাটোয়ারার মধ্যে শফি সরকার পান “৭ বিঘা”। বড় ভাই তিরিশ বিঘা সম্পত্তি ক্রয় করলেও তিনি কোনো সম্পত্তি ক্রয় করতে পারেননি। সহধর্মিণী- মোছাঃ রহিমা বিবি এবং এক পুত্র সন্তান- ‘মোঃ রাজুকে’ নিয়ে তিনি গ্রামেই থাকতেন। তার পরে তিনি গ্রামের পরিবেশ থেকে শহরে আসেন- জীবন জীবিকার উদ্দ্যেশে রাজশাহী। তবুও স্বরিত গান রচনায় থেমে থাকেনি তার মেধা। তিনি চাকরী পেলেন রংপুরের রহিমদ্দীন ভরসার সিগারেট কোম্পানীতে। আজ অবধি কর্মরত আছেন রাজশাহী সিটি করর্পোরেশন এলাকায়।বলা যায় যে, বিভাগীয় এলাকাজুড়েই তাঁর চাকরি। সেই কোম্পানীর বিভিন্ন পন্য বাজার জাত করনের সৌজন্যে প্রতি মাসে পান প্রায় আট নয় হাজার টাকা।
    অর্থ কষ্টেই চলেন, তাই তো তার চেহারা দেখলেই টের পাওয়া যায়। সারাদিন কর্ম ব্যস্ততায় কাটান এবং ভর দুপুরে বর্নালীর মোড়ে “শরিফ চা স্টলে” একটু জিরিয়ে নেন। আর সেই সুবাদেই তিনার সঙ্গে সেখানে নজরুল ইসলাম তোফার হঠাৎ সাক্ষাৎ হয়। তাঁর ‘জীবন কথা সহ স্বরচিত গানের’ একবৃহৎ ভান্ডার আছে জানতেও পারে। স্টলের টেবিল বাজিয়ে শুনিয়ে দিলেন অনেক গান। মুগ্ধ হওয়ার মতো একটি গান, ‘ডিপটিউবলে ফসল ফলায় আসমান ছাড়া জমিনে,… কি যুগ আসিলো গুরু মনে পড়ে তোমারে।… আকাশেতে মেঘভাসেরে এক ফসলেই জ্বালা, বৃষ্টি ছাড়া ভালো ফসল যায় না ঘরে তোলা।…. অনাবৃষ্টি ধুধু খরাই ফসল কত মইরাছে,….কি যুগ আসিলো গুরু মনে পড়ে তোমারে’।….. তরুণ প্রজন্মের প্রতিভাবান ব্যক্তি তারুণ্যের প্রতিক স্বল্প ভাষী, মিউজিক ম্যান কিংবা স্বরচিত গানের শিল্পী: মোঃ শফিকুল ইসলাম শফিসরকার যেন খুব অল্প বয়সে জয় করেছেন অসংখ্য শ্রোতা ও দর্শকের হৃদয়। বাড়ির পাশে ধানুরা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সর্বপ্রথমেই স্বরচিত গান গেয়ে দর্শক প্রিয় হয়েছিলেন। এখন তাঁর বয়স প্রায় ৪১ বছর হবে।
    তিনি এখনতো রাজশাহী একটি মনোরম পরিবেশ অর্থৎ উত্তরবঙ্গের ঐতিহ্যবাহী কাঁচাপাকা ৩ টি আম নিয়েই চৌরাস্তার মোড়ে নির্মিত একটি ‘আম চত্ত্বর’ ভাস্কর্য্যের পূর্ব দিকে জিয়া পার্কের পার্শ্ববর্তী নওদা পাড়া প্রামে সন্তানসহ সহধর্মণীকে নিয়ে আজ অবধি অবস্থান করেন। ভাড়া বাসাতে এক মাত্র ছেলেটিকে লেখা পড়ার খরচ যোগাতে হিমসিম খাচ্ছেন। বাবার দেয়া সাত বিঘা সম্পত্তিই এখন তাঁর জীবন যাপনের মুল পাথেও। নবম শ্রেনীতে লেখা পড়া করা ছেলেকে মোবাইল ফোন কিনে দিতে নারাজ। ছেলে নাছড় বান্দা হয়ে বাবার সঙ্গে জেদ করলে তাকে এ যুগের “হালচাল কিংবা অতীতে প্রেমের হালচালে” স্বরচিত গান গেয়ে শুনান। তাহলো ‘আধুনিক যুগ আর মড়ান যুগে,…..প্রেম আলাপে জমায় রে,….কে বানাইলো মোবাইল ফোনটা রে।…….আগে আমরা প্রেম করিতাম চিঠি দিয়া হাতে,..যাওয়া আসা অনেক দুরে,… প্রেমের আলাপ হয় না রে’।….
    সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলেই যে তাঁর বেড়ে ওঠা। বাল্য বয়সে মস্তিষ্কের কোষেকোষে গেঁথে যায় যাত্রা দলের গান এবং যাত্রার বিভিন্ন মিউজিক। কৈশরে স্বরচিত গানের সহিত মিউজিক বাজানোর উৎসাহ ও সেসবের পরিচিতি ছিল মনের অনেক উর্ধে। সব কিছু ছাপিয়ে যাত্রা দলের ‘ডুগী তবলা বাদ্যযন্ত্রকে নিয়েই যেন যাত্রা দল মাতিয়ে তোলে বাজানোর ঢংঙে। তরুণ বয়সে নিজ গাঁয়ের স্কুলে প্রতি বছর যাত্রা দল আসতো। মোঃ শফিকুল ইসলাম ওরফে শফি সরকার শৈশব থেকে যেন যাত্রাদলের প্রতি আগ্রহ দেখিয়েছেন। যশোহরের সেই- ‘জি, এস অয়েল অপেরা’ যাত্রাদলটি ধানোরা প্রামে এলে তাঁদের সাথেই মিউজিক বাজিয়েছেন এবং শৈশবে মনেও করেছেন দলটির সঙ্গে চলে গেলে মন্দ হয় না। কিন্তু বাস্তবতায় বাবার কারণেই সেই সিদ্ধান্তের কবর হয়েছিল। তবে তাঁর বাড়ির পাশের একজন দক্ষ প্রবীণ ব্যক্তি উস্তাদ তাসির উদ্দীনের সঙ্গে এলাকা থেকে অন্য এলাকায় ঘুরে ঘুরেই যেন মিউজিক বাজিয়েছেন। অনেক সুন্দর ‘হারমোনিয়াম এবং অর্গান’ বাজাতো উস্তাদ তাসির উদ্দীন। তাঁর সাথেই শফি’র উঠা বসা ছিল স্কুল জীবনে। উস্তাদ তাসির উদ্দীনের সঙ্গীতে ও বাদ্যযন্ত্রে পাগল হয়ে তাঁর সঙ্গে দূরদূরান্তের অনুষ্ঠানে গানের আসোবে ছুটে যেতো এবং সেখানে তাঁর নিজের লেখা গানগুলি গেয়ে আসোর জমাতো। ১২বছর বয়সে স্কুল ফাঁকি দিয়ে ‘উস্তাদ তাসির উদ্দীনের’ সাথেই যাত্রার সম্পূর্ণ অভিজ্ঞতায় ৭/৮ বছর ধরে যাত্রা দলের বাদ্যযন্ত্র বাজিছেন। গ্রামের সহজ সরল মানুষদের কাছে গান বা মিউজিক বাজানোটা তাঁর নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়েই গিয়েছিল।
    কিন্তু তাঁর, সে কংগো বা ডুগী-তবলার সহিত স্বরচিত গানগুলোর আধিক্যটা ছিল দর্শক জনপ্রিয়তার শীর্ষে। তানোর থানার বিভিন্ন এলাকাতে তাঁর সুর কিংবা গানের জন্যেও বায়না এসে ছিল। কিন্তু এখন মিউজিক নিয়ে তাঁর কোনই পরিকল্পনা নেই। তবে মনের ইচ্ছা পূর্ণ করার বাসনা সর্বদাই জাগ্রত হয়, তা হলো স্বরচিত গান লেখা আর সে গানগুলি নিজ কন্ঠে গাওয়া। এই বিজ্ঞান চিন্তা চেতনায় মানুষ, অনেক সময় বহু ভাবনায় অগ্রসর হয়েছেন এবং বর্তমানেও সেসব ভাবনা নিয়েই আছেন। তার প্রতিফলন এমন গানটি। ”বিতার পড়ে বিজ্ঞান হলে সব কিছুতে মিল দেখায়,..গানের কথা শফিকুল বানার। আবার বিজ্ঞানীরা কি দেখায়,……গানের কথা শফিকুল বানায়। হাত বোমা তৈয়ারী করে খেলছে কত খেলা,…… মসজিদ ঘরে বোমা মারে,…….নাস্তিক হয়া সারারে দেখ নাস্তিক হয়া সারা।…. কিতাব পড়ে বিজ্ঞান হলে,…বোমা মারা কি দেখায়?…গানের কথা শফিকুল বানায়।….মহা শূন্যে বসত বাড়ি,…..বিজ্ঞানের তৈয়ারী,…..দেশ বিদেশে আকাশ পথে,…….দিচ্ছে তারা পাড়িরে দেখ দিচ্ছে তারা পাড়ি।…ওরে চাঁদের দেশে মানুষ গেছে,..হাদীসেতে তার প্রমান নাই।…গানের কথা শফিকুল বানায়।…চাঁদ আছে আর কতদূরে,…বিজ্ঞান তার উপরে।…ভিন্নগ্রহে জীবের সন্ধান,..বিজ্ঞানীরা বলে রে দেখ বিজ্ঞানীরা বলে। মঙ্গল গ্রহে মানুষ যাবে,…আর বেশী দিন দেরি নাই।…. গানের কথা শফিকুল বানায়’।.. এ ব্যতিক্রমী চিন্তা ধারার মানুষকে আরও পরে ‘স্বরচিত গানের সাথে হারমোনিয়াম বাজিয়ে বহু গান শিখেছেন, তানোর থানার খুবই বড় গানের উস্তাদ- “মোঃ রেজাউল ইসলাম বাবু”।
    উনার ডাকেই বিয়ে-বাদি, কিচ্ছা-কাহিনী, যাত্রা-পাটি এবং স্কুল-কলেজের অনুষ্ঠানে স্বরচিত গান গেয়েছেন। তাঁর, বাবা মার হাজারো বাধা উপেক্ষা করে দীর্ঘ সময় এই জগতেই ছিলেন। একটু বলে রাখি, নেশা ও পেশার মধ্যে তাঁর যেন খেলাধুলার প্রতি আগ্রহ ছিল। গ্রামীণ খেলা হাডুডু পাশাপাশি একই ভঙ্গিতেই- ‘স্বরচিত গান’ লেখার চিন্তা যৌবনকালে মাথায় নিয়েছিল অত্যন্ত তীব্র ভাবে। কিন্তু তখন ‘কাগজে কলমে খাতায়’ লিখাটা হয়নি। তবে শুরু হয়েছিল কলেজে ভর্তী হবার পর পর। বলা দরকার যে, তিনি লেখাপড়াতে অনেক ভালো ছাত্র ছিলেন। এস, এস, সিতে ছয় মার্ক পেলে অবশ্যই “প্রথম স্হান” অধিকার করতেন। তবে তাঁর কলেজ জীবনটাই নেমে আসে- অমানিশার ঘোর আঁধার, পড়া শোনা আর হয়নি। কাল হয়ে দাঁডিয়ে ছিল- “হুচি”। এইচ, এস, সিতে হুচি’ নামের মেয়ের সঙ্গে ব্যর্থ প্রেমিক হয়ে যান। কিরের আর লেখাপড়া, কষ্ট পেয়ে ছিলেন। বাবা, তাঁকে অনেক চেষ্টা করেও কোনো লাভ হয়নি। হুচিকেও নিয়ে অনেক গান লিখেছেন। যেমন:- “কৃষ্ণচূড়া গাছেরে হুচি আজো বেঁচে আছে,…ভালোবাসার দিন গুলো সে কোথায় চলে গেছে।…পাড়ার যত তরুন মেয়ে খেলতো কতো খেলা,.. হাত ধরিয়া গোল্লাছুট আর কানা মাছির খেলা।…..ওরাই আমার সঙ্গের সাথী কোথায় চলে গেছে,.তাদের দেখতে মনে আমার বড়ই সাধ যে জাগে।… তাঁর নিজ ভাতিজা অর্থাৎ বড় ভাইয়ের বড় ছেলে “মোঃ আব্দুর রব” স্বচক্ষে দেখেছেন, অত্যন্ত স্পষ্টভাবেই তাঁর উপলব্ধি, সত্যিই চাচা সংগীত রচয়িতা। প্রত্যক্ষদর্শীরাই উৎসাহ যুগিয়েন চাচাকে “স্বরচিত গানে জগতে” তাঁকে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে তাঁরাই উঠিয়েছেন।
    দর্শকনন্দিত এ স্বরচিত গানের শিল্পী শফি নজরুল ইসলাম তোফাকেও অনেক গান শুনিয়েছেন। তাঁর ভাতিজার ভাষ্যমতে বলা যায় যে, আমি চাচার একজন ভক্ত, আমার চাচা অত্যন্ত একজন গুনী ব্যক্তি। তাঁর স্বরচিত বহু গান আছে, আমি মনে করি সংগীত জগতের এক তৃনমূল বীর, আমি তাঁর লিখিত- ‘গান, সুর, মিউজিক’ বাজানোর পারদর্শীকতায় সত্যিই একজন খাটিভক্ত। খুব পছন্দ হয় চাচার স্বরচিত গান, আবার গাইতেও চেষ্টা করি চাচার নিজস্ব স্টাইলে। আব্দুর রব আরো বলেছেন যে, সব গান বিজ্ঞান চৈতন্য বোধের- ‘ফোক সংগীত’। তাই ফোক সংগীতের রচয়িতা শফিকুল ইসলাম শফি প্রায় ৫০/৫৫ টি গান রচনার বড় এক খাতা হাতে করেই ঘোরে বেডান। সুতরাং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এর মাষ্টার্স পড়ুয়া ভাতিজার তত্ত্বমতে তাঁর বহু গান সহ জীবনের বিভিন্ন ঘটনার প্রমান দিলেন।
    শৈশব থেকেই তিনি বাংলাদেশের জনপ্রিয় বাউল শিল্পী, মমতাজের ভক্ত। শিল্পী মমতাজকে পেলে তাঁকে গানসহ মনের কিছু কথা শুনাতে ইচ্ছে করেন। শিল্পী মমতাজের মোবাইল নাম্বর পেলেও মোবাইলে গান গুলো শুনানোর ইচ্ছে প্রকাশ করেছিল। তাই তাঁর- ০১৭১৭৬৬৪১৪০ এই মুঠোফোন নাম্বর দিয়ে দিলেন লেখক:- নজরুল ইসলাম তোফাকে। গান গুলো “রেকডিং হোক” সেই ইচ্ছাও তাঁর আছে। সব গানগুলোতে নিজে সুর দেওয়া এবং গাওয়া আছে। কোন সংগীত প্রিয় ‘ছেলে কিংবা বিত্তবান মানুষ’ এগিয়ে আসলে তাদের গাওয়া ও রেকডিং করায় কোন বাধা সৃষ্ট করবেন না। উপরোক্ত আলোচনা থেকে এটাই প্রতীয়মান হয় যে ধর্ম এবং বিজ্ঞান উভয়ের প্রতি গভীর সমর্থনের এক বিশাল জনগোষ্ঠীর আস্থা থাকেই তাঁর এ রচিত গানের কথা ও সুর। হয়তো কালের আবর্তনে মহা বিশ্বের শুরু থেকে ধ্বংস পর্যন্ত – “মোঃ শফিকুল ইসলাম শফি’র” স্বরচিত গান যেন অক্ষন্য থাকে সে স্বীকৃতিটাও তিনি গান দ্বারা শ্রোতা ও দর্শকদের কাছে আশা করেন।
    লেখকঃ
    নজরুল ইসলাম তোফা,
    টিভি ও মঞ্চ অভিনেতা, চিত্রশিল্পী,
    সাংবাদিক, কলামিষ্ট এবং প্রভাষক।
    Share. Facebook Twitter Pinterest LinkedIn Tumblr Telegram Email
    আরিফুর রহমান সুমন
    • Website
    • Facebook

    Related Posts

    একুশঃ ভাষা থেকে স্বাধিনতা–মুহাম্মদ শামসুল ইসলাম সাদিক

    February 17, 2022

    পরকীয়া ভয়ঙ্কর এক ব্যাধি

    October 30, 2021

    শখ মিটে গেছেঃ শবনম ফারিয়া

    September 25, 2021

    Leave A Reply Cancel Reply

    © 2025 SS24BD Designed by SS24BD.COM.

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.

    Go to mobile version